আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি শিক্ষক/ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য যে সব বাসা বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকে সেটা ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ম না মানলে তাদের আর ভাড়া দেওয়া হবেনা। তাই যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে অবশ্যই সেই বাসাতেই থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা সবাই উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। তিনি জানান, সরকারি শিক্ষক/ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য যে সব বাসা বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকে সেটা তারা ব্যবহার করেন না। ফলে দিনের পর দিন এই সকল বাসা বা ফ্ল্যাট খালি পড়ে থাকে। তিনি আরো জানান, এই সকল কর্মচারীদের বেতন বাড়ার সাথে সাথে তাদের বাড়িভাড়া ভাতাও বেড়েছে। যার ফলে তারা তাদের বাড়িভাড়া ভাতার থেকে কমদামে অন্য কোন বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে তিনি জানান, বাড়ি ভাড়ার ‘রেট সিডিউল’ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসিত হলেও তাদের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে যত্রতত্র বিল্ডিং করতে না পারে সেজন্য একটি মাস্টারপ্লান করতে হবে । এর পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে মান নিশ্চিতের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানান তিনি।